Saturday, July 28, 2012

বেশ চলছে

এক

আজকাল রাতে আর ভালো ঘুম হয় না,
বোধহয় ঘুমেরাও ছেড়ে চলে গেছে।
অনেক বছর আগে, যখন ছোট্টটি ছিলাম,
বেশ শান্তিতেই ঘুমোতাম, আর
স্বপ্নে দেখতাম বড় হয়ে গেছি।
ওটা যে আসলে দুঃস্বপ্ন ছিলো,
তা তো কেউই বলেনি!
তখন না বুঝলেও, আজকে হাড়েহাড়ে জানি,
বড় হওয়াটা কোনও কাজের নয়।


দুই

একটা মেয়ে ছিলো, 
নিজেকে ভাবতো স্বাধীন দেশের স্বাধীন মানুষ,
ভাবতো, আমি তো প্রাপ্তবয়স্ক, নিজের মতেই চলবো,
অন্যের কথায় কান দিতে যাবো কেনো।
হিসেবের গোড়ায়ই গণ্ডগোল হয়ে গেলো।
মেয়ে আবার মানুষ হলো কোত্থেকে? কখনই বা হলো?
এ্যাঁ, এটা কি ইয়ার্কি হচ্ছে?
সমাজটা নাট্যশালা নাকি, যে দাঁত কেলিয়ে হাসবে?
সাহসই বা দেখো কতো!
একা মেয়ে, আবার যায় বারে,
কি, না বন্ধুর জন্মদিন পালন করতে হবে।
সে কি জানে না, জানতো না, যে আশেপাশে ঝাঁটা হাতে,
বসে আছে শকুনের দল?
স্বাধীন দেশের, স্বাধীন নাগরিক হওয়ার ফলটাও পেয়ে গেলো হাতেনাতে,
জামা-কাপড় ধরে টানাটানি,
চুল ধরে চললো চড়-থাপ্পড়, আর খান কয়েক লাথিও,
মাটিতে ফেলে দিয়ে।
ক্যামেরা নিয়ে মিডিয়াও হাজির,
বাঃ, রগরগে কাহিনী পাবলিককে দেখাতে হবে না?
তাই তো মিনি স্কার্ট তুলে দেখানো হলো উরু,
আর শার্ট ছিঁড়ে ভেতরের কালো ব্রা,
ক্যামেরাম্যানের আবার হুকুমও হলো, ফটো ভালো আসছে না,
তাই ভাইসব, আলোয় এনে ভালো করে হাত চালাও।
মহাভারতেও এমন এক ঘটনা আছে বলে পড়েছি।
তফাতটা হলো, বেশী না, মাত্র তিন হাজার বছরের,
আর সেখানে কৃষ্ণ থাকলেও, সেদিন রাতে মেয়েটার জন্য কেউই ছিলো না।
ভেবে মাথা ব্যথা হয়ে গেলো,
তবুও উত্তরটা যে পেলাম না শালা,
তিন হাজার বছরে কতটা মানুষ হলাম আমরা?
না আসলে না-মানুষ?

No comments:

Post a Comment

Share